বেক্সিমকোর কারখানায় গ্যাস বিস্ফোরণ, যুবকের মৃত্যু

 

ফাইল ফটো 


গাজীপুরে বেক্সিমকো গ্রুপের শাইনপুকুর সিরামিকস কারখানায় এলপিজি গ্যাসলাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ মো. আবু রায়হান নামে এক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। 


বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ভোরে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে, গত ১১ অক্টোবর রাতে গ্যাস বিস্ফোরণে ছয়জন দগ্ধ হয়েছিলেন।



নিহত আবু রায়হান মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় বেক্সিমকো গ্রুপের শাইনপুকুর সিরামিকস কারখানার এলপিজি গ্যাসলাইনে কাজ করতে গিয়ে দগ্ধ হন।



শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর থানার ওসি মো. জাহিদুল ইসলাম।



তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে রায়হান সাত দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ব্যাপারে তার বাবা কাশিমপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।



প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর রাতে গ্যাস বিস্ফোরণে ছয়জন দগ্ধ হন। ওই রাতেই তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। আবু রায়হানের ৪৪ শতাংশ দগ্ধ ছিল। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন দগ্ধ অন্যরা হলেন—মো. রাহাত (৩২), মো. রেজাউল করিম (৫৫), রূপম (২৫), তানভীর (৩৭) ও মো. ফারুক (৫৫)। তারা সবাই গ্যাস সিলিন্ডার মেরামতের কাজ করেন।



ঘটনার পর গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, গত ১১ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় শাইনপুকুর সিরামিক কোম্পানিতে এলপিজি গ্যাসলাইন মেরামতের কাজ চলছিল। এ সময় একটি গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তাতে মেরামত করার কাজে যুক্ত সবাই অগ্নিদগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।



তিনি আরো বলেন, দগ্ধরা কেউ শাইনপুকুর সিরামিকের কর্মচারী নন। তারা মজুরির ভিত্তিতে গ্যাস সিলিন্ডার মেরামত করতে সেখানে গিয়েছিলেন।



ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, দগ্ধদের মধ্যে রূপম ৬ শতাংশ, তানভীর ১৬ শতাংশ, ফারুক ২১ শতাংশ ও রাহাত ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।

Post a Comment

0 Comments