![]() |
লরেঞ্জোর এই আবিষ্কার শুধু তার পরিবারকে নয় বরং পুরো সম্প্রদায়কে গর্বিত করেছে। ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ |
আর্জেন্টিনার মার দেল সুর শহরের সৈকতে খেলতে গিয়ে মাত্র ৫ বছর বয়সী লরেঞ্জো আবিষ্কার করেছে একটি প্রাচীন ম্যামথের ধ্বংসাবশেষ। যা এখন মিরামার মিউনিসিপ্যাল মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল সায়েন্সেসে সংরক্ষিত।
জানা যায়, এ বছরের মার্চ মাসে লরেঞ্জো যখন সমুদ্র সৈকতে খেলছিল, তখনই সে এই প্রাচীন প্রাণীর হাড়গুলো খুঁজে পায়। পরে লরেঞ্জো এবং তার পরিবার সেগুলো মিরামার মিউনিসিপ্যাল মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল সায়েন্সেসে নিয়ে যান।
![]() |
লরেঞ্জোর মা বেলেন রোজাস, তার ছেলের এই আবিষ্কার নিয়ে গর্বিত। ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ |
যাদুঘরের কর্মী মারিয়ানো ম্যাগনসেন দীর্ঘদিন ধরে হাড়গুলো পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি জানান, ‘লরেঞ্জো যে প্রাণীর অবশেষ পেয়েছে, সেটি ছিল প্রাগৈতিহাসিক যুগের একটি বৃহৎ হাতির প্রজাতি। এর উচ্চতা প্রায় ৩ থেকে ৪ মিটার। বর্তমান সময়ের হাতিদের সঙ্গে এর বেশ মিল রয়েছে’।
লরেঞ্জোর মা বেলেন রোজাস, তার ছেলের এই আবিষ্কার নিয়ে গর্বিত। তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি বিশেষ গর্বের বিষয়। লরেঞ্জো আজ জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হয়ে উঠেছে । তার এই আবিষ্কার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য উত্তরাধিকার হয়ে থাকবে’।
![]() |
মার দেল সুর শহরটি তার প্রাগৈতিহাসিক সম্পদের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ |
মার দ
লরেঞ্জোর এই অসাধারণ আবিষ্কারটি স্থানীয় প্যালিওন্টোলজিক্যাল ঐতিহ্যের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন। মারিয়ানো জানান, ‘লরেঞ্জোর আবিষ্কৃত হাড়গুলো আনুমানিক ৪ লক্ষ বছরের পুরনো। আমরা আশা করছি এই আবিষ্কার আরো বেশি দর্শকদের আকর্ষণ করবে এবং স্থানীয় ইতিহাস সম্পর্কে আগ্রহ বাড়াবে’।
মার দেল সুর শহরটি তার প্রাগৈতিহাসিক সম্পদের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। লরেঞ্জোর এই আবিষ্কার শুধু তার পরিবারকে নয় বরং পুরো সম্প্রদায়কে গর্বিত করেছে।
এছাড়া, এই আবিষ্কার স্থানীয় ইতিহাস ও বিজ্ঞানকে বুঝতে সাহায্য করবে এবং শিশুদের মধ্যে ইতিহাসের প্রতি আগ্রহ জাগাবে। লরেঞ্জোর আবিষ্কার মার দেল সুর এবং জেনারেল আলভারাডো জেলার প্যালিওন্টোলজিক্যাল ইতিহাসকে আরো উজ্জ্বল করে তুলেছে, যা আমাদের অতীতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়কে তুলে ধরে।
0 Comments