![]() |
ফাইল ফটো |
প্রকৃতির নিয়মে বয়স বাড়ে। কিন্তু অকালে বার্ধক্য দেখা দিলে এটি চিন্তার বিষয়। বার্ধক্যের সঙ্গে কিন্তু খাদ্যাভ্যাসের নিবিড় যোগ রয়েছে। শরীরে বয়সের ছাপ রুখতে এবং ত্বক ভালো রাখতে হলে বেশ কিছু খাবার এবং পানীয়তে ইতি টানা জরুরি।
জোর করে বয়স ধরে রাখা যায় না। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে বার্ধক্য একটু বেয়াড়াপনা করে। নিয়ম না মেনে সময়ের আগেই শরীরে তার থাবা বসায়। নামি ক্রিম, ঘরোয়া টোটকা কিংবা জড়িবুটি দিয়েও বয়সের ছাপ ঢাকা দেওয়া যায় না। তবে বার্ধক্যের সঙ্গে কিন্তু খাদ্যাভ্যাসের নিবিড় যোগ রয়েছে। শরীরে বয়সের ছাপ রুখতে এবং ত্বক ভালো রাখতে হলে বেশ কিছু খাবার এবং পানীয়তে ইতি টানা জরুরি। জেনে নিন, সেগুলো কী কী।
১. মিষ্টি খাবার, পানীয়: কৃত্রিম শর্করা দেওয়া পানীয় কিংবা খাবার খেতে ভালোবাসেন? অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ যে মিষ্টি, তা হয়তো অনেকেরই অজানা। অতিরিক্ত চিনি খেলে শরীরে দ্রুত গতিতে ‘গ্লাইকেশন’ হয়। এই পদ্ধতিতে শর্করার অণুগুলো কোলাজেনের মতো প্রোটিনের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে যায়। যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট করে। ফলে অল্প বয়সেই চামড়া ঝুলে, কুঁচকে যায়। বলিরেখা পড়তে পারে সহজে।
২. প্রক্রিয়াজাত খাবার: প্রক্রিয়াজাত খাবারের মধ্যে নানা রকমের রাসায়নিক, অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এই ধরনের খাবারে লবণ, চিনির পরিমাণও বেশি থাকে। যা শরীরে প্রদাহের সৃষ্টি করে। দীর্ঘদিন ধরে প্রদাহজনিত সমস্যা হতে থাকলে ত্বকের কোষ নষ্ট হয়। অল্প বয়সে বার্ধক্য আসার কারণ কিন্তু এটিও।
৩. ভাজাভুজি: ‘হাইড্রোজেনেটেড অয়েল’ বা পোড়া তেলে ভাজা খাবারে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। এই ধরনের খাবার খেলেও কিন্তু প্রদাহজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পায়। হার্টের সমস্যাও বাড়তে পারে। রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। সঠিক বয়সে পৌঁছনোর আগেই শরীরে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে যেতে পারে বেশি ভাজাভুজি খেলে।
৪. অ্যালকোহল: পরিমিত মাত্রায় মদ্যপান করলে বিশেষ ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তবে তা অতিরিক্ত হয়ে গেলেই বিপদ! শরীরের তো বটেই, আলাদা করে ত্বকেরও ক্ষতি করতে পারে অ্যালকোহল-জাতীয় পানীয়। শরীরে পানির ঘাটতি হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে এই অভ্যাস। ডিহাইড্রেশনের কারণে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়তে থাকলেও ত্বক বুড়িয়ে যেতে পারে।
৫. নোনতা খাবার: অতিরিক্ত মিষ্টি খেলে যেমন বিপদ, তেমন বেশি নোনতা খেলেও সমস্যা। নোনতা খাবার বেশি খেলে শরীরে ফ্লুইডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘ওয়াটার রিটেনশন’ বলা হয়। এই ধরনের সমস্যা হলে শরীরে ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে। পেট ফাঁপার সমস্যা হতে পারে।
0 Comments