দাম কমেও ক্রেতার নাগালের বাইরে মুরগি-পেঁয়াজ


নিত্যপণ্য- ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ




রাজধানীর বাজারে সবজির সরবরাহ অনেকটা স্থিতিশীল। তবে একদিনের ব্যবধানে মুরগি ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এখনো রয়ে গেছে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এছাড়া, আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চাল।


বুধবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মতিঝিল, হাতিরপুল, কারওয়ান বাজারসহ অন্যান্য বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।



রাজধানীর বাজারে শীতের সবজির ফুলকপি ও বাঁধাকপি এলেও দাম তুলনামূলক বেশি। ছোট আকারের একেকটি কপি ৩৫-৪০ টাকা পিস, ছোট আকারের লাউ প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা ও মাঝারি আকারের লাউ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।



প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৯০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, বেগুন মানভেদে ৫০-৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, শিম ৯০, পেঁপে ৪০ টাকা, দেশি গাজর ১০০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, শসা, ঝিঙা, কচুর মুখি, মুলা, ধুন্দল, বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।



লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ২৫০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ২০ টাকা, পালং শাক ২০ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।



কাওরানবাজারসহ বেশ কিছু পাইকারি বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ডজনপ্রতি সাদা ফার্মের ডিম ১৪০ টাকা, লাল ডিম ১৪৫ টাকা, খুচরা পর্যায়ে ডজনপ্রতি সাদা ও লাল ফার্মের ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া হাঁসের ডিম ডজনপ্রতি ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ডজনপ্রতি ২৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।



মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ১০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি আকার অনুযায়ী ১৭০-১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি মানভেদে ২৯০-৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ থেকে ৫৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।



গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, ছাগলের মাংস কেজিপ্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।



কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আলু ৭০ টাকা, মানভেদে নতুন আলু ১০০-১১০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আদা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।



৫ লিটার সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।



চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিপ্রতি মোটা চাল ৫৭ টাকা, মিনিকেট ৭৩ টাকা, আটাশ চাল ৬১ টাকা, কাটারি নাজির ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল আমন চাল ৯০ টাকা, সুগন্ধী চিনিগুড়া পোলাও চাল ১৩৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।



মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, ৬ কেজি ওজনের রুই মাছ ৪০০ টাকা, এক কেজি ওজনের রুই মাছ ২৮০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৯০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।



বর্তমানে ভারতীয় জিরা কেজিপ্রতি প্রায় ৭৮০ টাকা, শাহী জিরা ১৬৬০ টাকা, মিষ্টি জিরা ২৪০ টাকা, পাঁচফোড়ন ২০০ টাকা, রাঁধুনী ৫০০ টাকা, মেথি ১৫০ টাকা, চিনাবাদাম ১৬০ টাকা, কাজু বাদাম এক হাজার ৬০০ টাকা, পেস্তা বাদাম দুই হাজার ৭৫০ টাকা, ত্রিফলা ১৫০ টাকা, জয়ফল ৮০০ টাকা, তেজপাতা ১৮০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা, গোলমরিচ এক হাজার ২০০ টাকা, ধনিয়া ২৫০ টাকা, সরিষা ১০০ টাকা, কিসমিস ৫২০ থেকে ৫৪০ টাকা, এলাচ তিন হাজার ৮০০ টাকা, কালো এলাচ ৩ হাজার টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৭০০ টাকা, জয়ত্রি দুই হাজার ৯০০ টাকা, পোস্তদানা এক হাজার ৮০০ টাকা, আলুবোখারা ৫৫০ টাকা, দারুচিনি ৫৫০ টাকা, খোলা হলুদের গুঁড়া ৩৭০ টাকা, খোলা মরিচের গুঁড়া ৪৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে মসলার দামে ভিন্নতা রয়েছে।


Post a Comment

0 Comments